মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় ১১২টি। প্রতি বছরে ১১২ টি স্কুল থেকে জোর পূর্বক ১ লাখ ১২ হাজার টাকা আদায় করে শিক্ষা অফিসার। শ্রীনগর উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাহেদা আখতারের কাছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা গোল্ড কাপ ২০২৪ বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, খেলা বন্ধ তবে বিভিন্ন কাজে খরচ করেছি। তাকে প্রশ্ন করা হলে, আপনি এই ভাবে টাকা তুলতে পারেন কিনা? তিনি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি। তবে প্রশ্ন হলো এই টাকা দিয়ে কি করেন তিনি? বা এরকম কোন নীতিমালা আছে কিনা? যে টাকা তুলে বঙ্গমাতা নামে টাকা খরচ করবে।
তার কাছে জানতে চাইলে সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ জাকির লস্কর এর কাছে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার আমলে মেগা প্রকল্প তৈরি করে টাকা হরি লুট করেছে, এই বাহিনী। এখনো তারা এই ব্যবসা ছাড়ে নাই। বিচারের আওতায় না আনলে, কোনো ভাবে সমাধান হবে না।
হরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১ হাজার করে টাকা তুলে শিক্ষা অফিসারের কাছে জমা দিয়েছি। হিসাব তিনি দিতে পারবে।
উক্ত
কমিটির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর আগে নির্বাচিত
তৎকালীন কমিটির সভাপতি জিএমএ লতিফ অবসর গ্রহণ করার পরে তার মেয়াদকাল থাকা সত্ত্বেও বাসাইলভোগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আমজাদ হোসেন, উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নেতা অধীর দত্ত ও হরপাড়া সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেনের নেতৃত্বে সমিতি দখলে নেন।
সংশ্লিষ্ট
সূত্রে জানা গেছে, সমিতি দখলের পরে অদ্যবধি শিক্ষক সমিতির কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। তারা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় দূর্নীতির আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন কর্মকান্ড করে আসছিল। প্রত্যেক স্কুল থেকে আক্তার হোসেনের মাধ্যমে ২ হাজার টাকা
করে আদায় করে স্কুল গুলোকে শ্লিপফান্ড প্রদান করা হতো। এতে প্রতি বছর তারা ২ লাখ ২৪
হাজার টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে নিতো। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা গোল্ডকাপে জোর পূর্বক ১১২টি স্কুল থেকে ১ হাজার টাকা
করে আদায় করে ভাগ বাটোয়ারা করতো।
অথচ
এ খাতে সরকারি অনুদান আসতো প্রতিটি পর্যায়ে। উপজেলার জন্য আসতো ৪৫ হাজার টাকা।
প্রতিটি স্কুলের জন্য আসতো ২ হাজার টাকা
করে এবং প্রতিটি ইউনিয়নের জন্য বাড়তি ৩ হাজার টাকা
করে। কিন্তু এ টাকা স্কুল
গুলোকে না দিয়ে তারা
আত্মসাৎ করতো।
২০২৪
সালে কোন খেলা আয়োজন না করেই যাবতীয়
টাকা আত্মসাৎ করে নিয়েছে। উপজেলার ১১২টি স্কুলকে প্রতি বছর তারা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে
নিয়ে লেখা বই গায়ের দামে
কিনতে বাধ্য করতো। সমিতির টাকা শিক্ষকদের কল্যাণে কোনরূপ ব্যয় না করে কর্মকর্তাদের
খুশি করতে তাদের ছেলে-মেয়েদের বিয়ের অনুষ্ঠানে এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে আনন্দ ভ্রমণে কিছ টাকা ব্যয় করতো। এ খাতেও প্রকৃত
খরচের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি খরচ দেখানোর অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া শ্রীনগর সদরের একজন শিক্ষিকা দুই বার ৩ বছর করে
অষ্ট্রেলিয়ায় থেকে এসে শিক্ষক নেতাদের ম্যানেজ করে এরপর বহাল তবিয়তেই রয়েছেন। এক্ষেত্রে দুইবারে ৮ লাখ টাকা
ঘুষ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
জানা
গেছে, আমজাদ হোসেন দুই বছর আগেই অবসর গ্রহণ করলেও নির্বাচন না দিয়ে শিক্ষক
সমিতির ৮ বছরের লুটপাট
আকড়ে বসেছিলেন।
উপজেলা
শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি মো. আমজাদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি বলেন, আমি ২ বছর আগেই
অবসরে গিয়েছি। শিক্ষা অফিসার এব্যাপারে ভালো বলতে পারবে। আমাকে দাওয়াত করা হতো, আমি উপস্থিত হতাম।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh